সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে তুরস্কের সম্মতি
সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে তুরস্ক। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে তারা।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। দু'জনের ওই সাক্ষাতের পরেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানিয়েছে তুরস্ক।
পাঁচদিনের জন্য সব ধরনের লড়াই বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে হটাতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। মাইক পেন্স জানিয়েছেন, এ কাজে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্তত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কুর্দিদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চায় তুর্কি বাহিনী।
তুরস্কে থাকা ৩০ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে ওই অঞ্চলে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এর ফলে ওই অঞ্চলে বসবাসরত কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে।
তুরস্ক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কুর্দি বাহিনী ওয়াইপিজে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়।
তবে সিরিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোর্সের কমান্ডার মাজলুম কোবানি বলেছেন, সীমন্তবর্তী রাস আল-আয়িন এবং তেণ আবিয়াদ শহরের মধ্যে হওয়া চুক্তি মেনে চলবে কুর্দি বাহিনী। সেখানে দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য শহরের বিষয়ে এখনও কোনো আলোচনা করিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধকালীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেন, রাস আল-এইন শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও সংঘর্ষ চলছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরিয়ায় গত আট দিনে ৭২ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও তিন লাখের বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।
টিটিএন/এমএস