ফেনীতে চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ফেনীতে শত কোটি টাকার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বছর শত কোটি টাকার চামড়া বিক্রি হয় শহরতলীর পাঁচগাছিয়া বাজারে। এখানে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মিরসরাই, চৌদ্দগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ বাজারে পশুর চামড়া আসে।

প্রতি বছরই এ বাজারের ১৫-২০ জন ব্যবসায়ী খুচরা ক্রেতাদের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ চামড়া সংগ্রহ করেন। সিন্ডিকেট ও চামড়া পাচার রোধে বিজিবির সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া কেনার জন্য স্বল্প পুঁজির কিছু ব্যবসায়ী মাঠে নামেন। তারা এই চামড়া কিনে বিক্রয় করেন পাঁচগাছিয়া বাজারে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তাদেরকে ঠকানোর জন্য মাঠে নামেন আড়ৎদারদের একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় খুচরা বিক্রেতারা। ফলে পাঁচগাছিয়ার কোনো ব্যবসায়ী খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি চামড়া কিনতে চান না। গত কয়েক বছরে লাভের আশায় মাঠে নেমে লোকসান গুণতে হয়েছে খুচরা বিক্রেতাদের।

সূত্র আরো জানায়, ওই বাজারের কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৫-৭ কোটি টাকা পর্যন্ত সিন্ডিকেটদের মাধ্যমে মাঠে ছাড়েন। কমদামে চামড়া সংগ্রহ করতে ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। ঈদের আগে হঠাৎ করে তারা চামড়ার দাম কমে গেছে বলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন দাম প্রচার করে। তাদের ধার্যকৃত দামেই খুচরা বিক্রেতাদের গ্রাম থেকে চামড়া সংগ্রহ করেতে বাধ্য করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর হাতে এ বাজারটি জিম্মি হয়ে পড়েছে। খুচরা ক্রেতা ঠেকাতে এবারও বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ছাড়ছেন চামড়া সংগ্রহের জন্য।

পাঁচগাছিয়ার চামড়া ব্যবসায়ী ও যমুনা লেদারের সত্ত্বাধিকারী হাজী মো. লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সবসময় খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে থাকি। এবারও আমরা একই নিয়মে চামড়া কিনবো।

৪ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লে.কর্নেল শামীম ইফতেখার জাগো নিউজকে বলেন, চামড়া পাচার রোধে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজনে সীমান্তে রেড এলার্ট জারি করা হবে।

জহিরুল হক মিলু/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।