অর্থনীতিতে সস্ত্রীক নোবেলজয়ী কে এই অভিজিৎ ব্যানার্জি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
সস্ত্রীক নোবেল জয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি

অর্থনাীতিতে সস্ত্রীক নোবেল পুরস্কার পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পর চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনি। সস্ত্রীক নোবেল পাওয়া অভিজিৎ ১৯৬১ সালে কলকাতায় এক বাঙালি অধ্যাপক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

অমর্ত্য সেনের পরে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ ব্যানার্জি। একই সঙ্গে ফরাসি বংশোদ্ভূত তার স্ত্রী এসথার ডাফলোও গত ৫০ বছর পর দ্বিতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন।

নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করে বলছে, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণার জন্যই এবার অর্থনীতিতে নোবেল দেয়া হলো এই ত্রয়ীকে। বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে এক অসামান্য পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য তারাই এবার অর্থনীতির নোবেল পাওয়ার জন্য বিবেচিত হয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ ব্যানার্জি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক। এছাড়া তার ফরাসি বংশোদ্ভূত স্ত্রীও মার্কিন নাগরিক। তিনিও এমআইটিতে অধ্যাপনা করেন।

কলকাতায় জন্ম নেয়া অভিজিতের মা-বাবাও অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। তার মা নির্মলা ব্যানার্জি কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং বাবা দীপক ব্যানার্জি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।

বর্তমানে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমআইটিতে কর্মরত অভিজিৎ বিনায়ক। বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে গবেষণার জন্য স্ত্রী এসথার ডাফলোকে নিয়ে যৌথভাবে তিনি ‘আব্দুল লতিফ জামিল প্রোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

আব্দুল লতিফ জামিল প্রোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব নামে তাদের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষামূলক যে গবেষণা করেছেন তারা মূলত তাকেই মূল্যায়ন করে এবারের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য অর্থনীতিবিদ ওই জুটিকে নির্বাচিত করেছে নোবেল কমিটি।

অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির প্রাথমিক পড়াশোনা কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। তারপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করে ওই বছরই স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান পিএইচডি করতে। হার্ভার্ডে তার গবেষণার বিষয় ছিল ইনফরমেশন ইকোনমিক্স। সফলভাবে পিএইচডি শেষে তিনি সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন।

অন্যদিকে প্যারিসে জন্ম নেয়া তার ৪৭ বছর বয়সী স্ত্রী ইসথার ডাফলো এমআইটি থেকে পিএইচডি শেষে সেখানেই পড়াচ্ছেন। এমআইটিতে তাদের দুজনের পরিচয়। তাদের এক পুত্রসন্তান আছে। অভিজিত তার স্ত্রী এসথার ডাফলোর পিএইচিডি গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।