সাহস থাকলে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনুন : বিরোধীদের মোদির চ্যালেঞ্জ
কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বাতিলের বিষয়ে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘সাহস থাকলে নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিন।’
আগামী ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে গতকালে রোববার (১৩ অক্টোবর) জলগাঁওয়ে এ নির্বাচনের প্রথম সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন মোদি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী মনে করেন, এটা ফিরিয়ে আনতে কারও উৎসাহ আছে? যদি তারা সাহস দেখায়, তাহলে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব থাকবে?’
ভাষণে মোদি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর শুধু ভূখণ্ড নয়, ভারতের মুকুট।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চার মাসের বেশি সময় লাগবে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মোদি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিরোধীরা ৩৭০ ধারা নিয়ে রাজনীতি করছে। প্রতিবেশী দেশের (পাকিস্তান) মতো একইভাবে কথা বলছে তারা। ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো সিদ্ধান্তকে নিয়ে কংগ্রেস ও এনসিপির রাজনীতিকরণ অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জম্মু-কাশ্মির নিয়ে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে তাদের দলের নেতারাই মানেন না।’
মোদি আরও বলেন, ‘আমি তাদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, যদি সাহস থাকে তাহলে রাজ্য ও ভবিষ্যত নির্বাচনের ইশতেহারে ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। আর তা না পারলে কুমিরের কান্না বন্ধ করুন।’
উল্লেখ্য, সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ অনুচ্ছেদটি বাতিল ঘোষণা করে মোদি সরকার। এ অনুচ্ছেদটি বাতিলের কারণে অবধারিতভাবে সংবিধানের ৩৫-ক ধারারও বিলুপ্তি ঘটে। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর উপত্যকা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ঘটনার আগের দিন থেকে ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া খানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমএসএইচ