দৌলতদিয়ায় চার কিলোমিটার তীব্র যানজট
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে আটকে থেকে চরম দুর্ভোগের শিকার হন গরুর ব্যাপারি, রাখালসহ ঘরমুখো হাজারো যাত্রী ও চালকেরা।
এদিকে, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরা টিকিট প্রতি অতিরিক্ত ৫শ থেকে ১৫শ টাকা আদায় করে ফেরির টিকিটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বলে আটকে থাকা অনেক চালক ও গরু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।
ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী পারের অপেক্ষায় আটকে পড়েছে শত শত বিভিন্ন যানবাহন। এ এলাকার ফোর লেন সড়কের বাম পাশের ওয়ান ওয়েতে দুই/তিন সারিতে গরু বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন আটকে আছে। অপর পাশে এলোমেলোভাবে পরিবহন ঢুকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা গরু ব্যাবসায়ী মিল্টন বলেন, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। কিন্তু যারা দালালদের হাতে বাড়তি টাকা তুলে দিচ্ছে তারা সিরিয়াল ভেঙে পুলিশের সামনে দিয়ে আগে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।
মেহেরপুর থেকে আসা গরু ব্যাপারী আব্দুল রশিদ মিয়া বলেন, প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে ঘাটে আটকে আছি গাড়ি সামনে যতটুকু যায়, সমান তালে আবার পিছনে যায়।
বিআইডবিøউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয় ব্যবস্থাপক, মো. শফিকুল ইসলাম জানান,দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মোট ১৯ টি ফেরি চলার কথা রয়েছে ৩ টি ফেরি বিকল থাকার কারনে বর্তমানে ১৬ টি ফেরি চলছে। দুই এক দিনের মধ্যে এ সমস্যা কেটে যাবে।
রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম জানান, পর্যাপ্ত ফেরি না থাকা এবং সেই সঙ্গে একযোগে অতিরিক্ত যানবাহন নদী পার হতে ঘাটে আসায় মহাসড়কে যানবাহনগুলো আটকা পড়ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আগে পার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে ঘাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা অতিরিক্ত টাকা নেয়ার ঘটনা ঘটছে না।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান এমপিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ অঞ্চলের মানুষের চাওয়া ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের যান পারাপার স্বাভাবিক হওয়াসহ ফেরি স্বল্পতা দ্রুত কাটিয়ে উঠা সম্ভব হলে জনদুর্ভোগ কমবে।
রুবেলুর রহমান/এসএস/পিআর