কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

কাশ্মীরের শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলায় সাতজন আহত হয়েছে। সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ভূস্বর্গের দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার দু'দিন পরেই এই হামলার ঘটনা ঘটল। সোমবার বিকেলে একটি বাইকে করে এসে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

এদিকে সোমবার বিকেল থেকে পোস্টপেইড মোবাইল আবারও চালু করা হবে বলে শনিবার জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের।

সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসাল সাংবাদিকদের বলেন, কাশ্মীরের ১০ জেলাতেই সোমবার বিকেল থেকে পোস্টপেইড মোবাইলের সব লাইন খুলে দেওয়া হবে। পর্যটকরা বিনা বাধায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। কাশ্মীরে ৪০ লাখ মানুষ পোস্টপেইড মোবাইল ব্যবহার করেন।

মূলত বিত্তশালী এবং ব্যবসায়ীদের হাতেই পোস্টপেইড মোবাইল রয়েছে। ফলে এই ঘোষণায় সাধারণ নাগরিকদের কতটা উপকার হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সোমবার বিকেলে শ্রীনগরের হরি সিং হাই স্ট্রিটে গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় এক নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের এসএমএইচএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইক-আরোহী দুই যুবকের ছোড়া গ্রেনেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি নর্দমার মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। নয়তো আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মাল্লা বেগম বলেন, সবকিছু ঠিকই চলছিল। হঠাৎ একটা বাইক এসে কী যে হয়ে গেল। ভাগ্যিস বোমা নর্দমায় গিয়ে পড়েছে। নিমেষের মধ্যেই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।