গাইবান্ধায় জমে ওঠেনি পশুর হাট
ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আর শেষ মুহূর্তে এসেও জমে ওঠেনি গাইবান্ধায় কোরবানির পশুর হাটগুলো। জেলার সবগুলো পশুর হাটেই ক্রেতাদের ভীড় অপেক্ষাকৃত কম বলে জানা গেছে।
এদিকে, বিভিন্ন ওষুধসহ ইউরিয়া সার খাইয়ে কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় এ বছর কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরা ওই পদ্ধতি প্রয়োগ করছে গোপনভাবে। ফলে সঙ্গত কারণেই হাটে কোরবানির পশু ব্যাপক হারেই কমেছে।
পশুর হাট ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একেবারে শেষের দিকে চোরাই পথে ভারতীয় গরুর আমদানি বাড়বে এবং সেই সঙ্গে কোরবানির পশুর দামও কমে আসবে। এই আশা নিয়েই ক্রেতারা এখনো পশু কেনাকাটা শুরু করছেন না। সে কারণে হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।
বাদিয়াখালির হাটের পশু বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ক্রেতা ও আমদানি দুটোই কম হওয়ায় কোরবানির পশুর দাম অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। গত বছর মাঝারি সাইজের গরু ১৮ থেকে ২৬ হাজার এবং বড় সাইজের ২৭ থেকে ৩২ হাজার টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু এ বছর মাঝারি সাইজের গরু ২৫ থেকে ২৯ হাজার এবং বড় সাইজের গরু ২৮ থেকে ৩৭ হাজার টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
পলাশবাড়ির মাঠেরহাটে গরু কিনতে এসে দাম বেশি মনে হয়েছে জেলা শহরের ব্যবসায়ী জাহিদুল হক লিটনের । তিনি জানান, এবার নির্ধারিত হাটের বাইরে বেশ কিছু হাট বসেছে। কাজেই তিনি আরো দু’দিন ঘুরে দেখতে চান।
প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে জেলার নিয়মিত ২৮ হাট ছাড়াও আরো অতিরিক্ত ১৮টি অস্থায়ী হাটে গরু, মহিষ ও ছাগল কেনাবেচা চলছে। কিন্তু হাটগুলোতে পশু রোগ পরীক্ষায় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো তৎপরতা নেই। তবে নকল টাকা সনাক্ত করার বুথের কার্যক্রম কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে।
অমিত দাশ/এসএস/পিআর