যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার পর যে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে চীন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, চীনকে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে সাহায্য করছে মস্কো যা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কারও কাছে নেই। মূলত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকারীদের সতর্ক করতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কাছেই এমন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। যার মধ্যে বিন্যস্ত থাকবে ভূমিভিত্তিক বেশ কিছু রাডার এবং স্পেশ স্যাটেলাইট। এর মাধ্যমে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতি আগেই শনাক্ত করা সম্ভব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী মস্কোতে আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনে পুতিন বলেন, চীনকে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করছে রাশিয়া। তিনি এ সময় বলেন, ‘এটা খুবই গুরতর একটি বিষয় যা চীনের সামরিক সক্ষমতাকে আমূল বদলে দেবে।’
রুশ প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে জানা গেলে এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করেই চলেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃহৎ আকারের এক বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে চীন।
গত জুনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘সবচেয়ে কাছের ও অন্তরঙ্গ বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরও জানান, তাদের এই গভীর বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে তিনি সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
পুতিনের এমন বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও অনলাইনে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। চীনে টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবোর কিছু ব্যবহারকারী এটি কৌশলগত সহযোগিতার নতুন মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করছেন।
তবে কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, বেইজিংয়ের কী রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম সহযোগিতর প্রয়োজন আছে? একজন বলেন, ‘রাশিয়ার আরও একবার দম্ভের আস্ফালন। মনে হয় এটা তাদের জাতীয় সংস্কৃতি। চীন হলে এরকম করে কখনোই বড়াই করতো না।
এসএ/এমকেএইচ