অস্ট্রিয়ায় ফের চ্যান্সেলর হচ্ছেন সাবেস্তিয়ান কুর্জ
গতকাল অস্ট্রিয়ার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সরকারের অস্ট্রিয়া পিপলস পার্টি মোট ভোটের ৩৮.৪ শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে এই দলের নিকটতম প্রতিযোগী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি অস্ট্রিয়া পেয়েছে ২১.৫ শতাংশ।
তবে সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছে কট্টর অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী দল ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রিয়া। গত নির্বাচন থেকে প্রায় ৮.৭ শতাংশ ভোট কম পেয়েছে। তবে অন্যদিকে অস্ট্রিয়া পার্লামেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টি অস্টিয়া গত নির্বাচন থেকে বিপুল ভোট পেয়েছে। গ্রিন পার্টি অস্ট্রিয়া মোট ভোটের প্রায় ১২.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে যা গতবারের থেকে ৮.৬ শতাংশ বেশি।
তবে অনেকে মনে করছে, কট্টরপন্থী দল ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রিয়ার ভোটে ব্যাপক ভরাডুবির মূল কারণ দলের সাবেক প্রধান হেইঞ্জ স্ট্রাকের ভিডিও কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়া। তবে বিজয়ী পিপলস পার্টির প্রধান সাবেস্তিয়ান কুর্জ কার সাথে কোয়ালিশনের মাধ্যমে সরকার গঠন করবে সেটি দেখতে অস্ট্রিয়াবাসীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
অনেকেই ধারণা করছেন, পুনরায় ফ্রিডম পার্টির সাথে কোয়ালিশন করে সরকার গঠন করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা বিভিন্ন ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে ব্যাপক মিল রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, গ্রিন পার্টি অস্ট্রিয়ার প্রধান ভারনার কোগলার ইতোমধ্যেই সাবেস্তিয়ান কুর্জের সাথে জোট করে পার্লামেন্টে যাওয়ার কথা নাকচ করে দিয়েছে।
অনেকেই আশাবাদী সোশ্যাল পার্টি অস্ট্রিয়ার সাথে কোয়ালিশন করেই পার্লামেন্টে যাবেন পিপলস পার্টি অস্ট্রিয়া। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল পার্টির প্রধান পামেলা রেন্ডি ভাগনার হতে পারেন ভাইস চ্যান্সেলর। তবে অনেকের আশঙ্কা যদি পিপলস পার্টি এবংং ফ্রিডম পার্টি যদি পুনরায় সরকার গঠন করে তাহলে অভিবাসীদের জন্য অনেক আইন কঠোর হতে পারে এমনকি অনেক অবৈধ অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
কারণ বিগত সময় অভিবাসীদের জন্য অনেক আইন করেছিল কুর্জ সরকার যা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। বিশেষ করে স্কুলগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি অস্ট্রিয়ান নাগরিকরা সকলেই সোশ্যাল পার্টিকে সরাসরি সমর্থন করেছে। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির ধারণা ভবিষ্যতে আইন আরো কঠোর হতে পারে। তবে সকলে তাকিয়ে পিপলস পার্টি কোন দলের সাথে জোট করে সরকার গঠন করে। সেটি জানা যাবে আরো কিছুদিন পর।
এমআরএম