এখনই গরু ছাড়ছেন না ব্যবসায়ীরা
রোববার হাটশুরুর প্রথম দিন প্রচুর সংখ্যক গরু এসেছে রাজধানীর কমলাপুরের হাটে। ভারতীয় ও নেপালি গরু ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে যেসব ক্রেতা হাটে গরু কিনতে এসেছেন তারা বাজার পরিস্থিতি দেখে হতাশ। বিক্রেতারা এখনই গরু ছাড়বেন না, আরো দু’একদিন বাজার দেখবেন বলে মন্তব্য করছেন তারা।
সরেজমিন কমলাপুরের বালুরমাঠ পশুর হাটের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে। কমলাপুর গিয়ে দেখা গেল, এখনো হাট জমজমাট হয়নি। বৃষ্টির কারণে হাটে নেই ক্রেতার তেমন উপস্থিতি। আগ্রহীরা বাজারে এলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
মাসুদ আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, টেলিভিশনে দেখলাম ভারত গরু ছাড়বে না। কিন্তু হাটেতো ভারতের অনেক গরু এসেছে। নেপালের গরুও রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা যে দাম চাইছেন, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তারা এখনই গরু ছাড়তে চাইছেন না। কমলাপুরে মাঝারি সাইজের গরুর দাম ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সর্বোচ্চ পাঁ৭ লাখ টাকার একটি অস্ট্রেলিয়ান গরুও উঠেছে।
জামাল হায়দার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, অধিকাংশ ব্যবসায়ী গরুর প্রকৃত দাম না বলে বাজার যাচাই-বাছাই করছেন। ‘ভারতীয় গরু আসছে না’ দোহাই দিয়ে তারা বেশি দাম হাঁকানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে মঙ্গলবার থেকে গরুর প্রকৃত বাজার বোঝা যাবে।
তবে ক্রেতাদের এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করলেন বিক্রেতারা। আজগর আলী নামে এক বিক্রেতা জানান, গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধি, ট্রাক ভাড়া, হাটের খরচ, গরুর পরিচর্যা আর বৃষ্টির কারণে গরুর দাম একটু বেশি চাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘এতো কষ্ট করে আমরাতো আর লোকসানে গরু বিক্রি করতে পারি না। তাই ক্রেতা দেখছি।’
এদিকে রোববার বৃষ্টিতে কমলাপুর হাটের প্রায় অর্ধেক গরুকে ভিজতে দেখা গেল। অধিকাংশ গরু ছিল ত্রিপলের বাইরে। অনেক ব্যবসায়ী চটের ছালা দিয়ে গরু ঢেকে রেখেছেন। কেউ অস্থায়ীভাবে গরুর উপরে প্লাস্টিকের পর্দা টেনে দিয়েছেন।
এই অবস্থায় অনেক ব্যবসায়ী গরুর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। বৃষ্টির কারণে হাটের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ভেতরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাটা অনেকটা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এআর/বিএ