সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার


প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নরসিংদীর চরাঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় নজরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিকেলে গ্রেফতারকৃত জালালকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত শনিবার সকালে নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বাদল আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এলাকায় গরীব, অসহায় ও হত দারিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে করা হবে। আর এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বাদল ভিজিএফ কার্ড বিতরণের তালিকা একটি কপি দেয়ার জন্য সচিবকে নির্দেশ প্রদান করে।  

বিষয়টি এখতিয়ার বর্হিভূত উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানায় এক ইউপি সদস্য। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকারও প্রতিবাদ জানালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বাদলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতা ফকরুল ইসলাম বাদল আহত হয়। ওই সময় চেয়ারম্যানের তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে গুলি ছুঁড়ে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিষয়টি সমাধান করা হয়।

পরে বিকেলে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকারকে নরসিংদী শহরের বাড়ি থেকে পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত ১১টার দিকে নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকারসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই হেলাল উদ্দিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গরীবদের মাঝে চাল বিতরণের ৫০ শতাংশ ভিজিএফ কার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দাবি করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান এই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে চেয়ারম্যানের লাইসেন্সকৃত শর্টগান থেকে এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন।

এ ব্যাপারে নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকরুল ইসলাম বাদল বলেন, গত রোজার ঈদে ভিজিএফ কার্ড মাধ্যমে প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান তিন কেজি করে কম চাল প্রদান করেছেন। আর এ নিয়ে এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। অনিয়ম ঠেকাতে তালিকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান আমাকে মারপিট ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

গ্রেফতার ও রাতে মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু তাহের দেওয়ান কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তিনি দাবি করেন, গ্রেফতারের পরপরই মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সঞ্জিত সাহা/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।