চীনে আটক মুসলিমদের নিয়ে চুপ কেন ইমরান?
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিরস্কার করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন ইমরান খান চীনে আটক মুসলিমদের নিয়ে কিছু বলছেন না?
চীনে আটক প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য তুর্কিভাষী মুসলিমদের সম্পর্কে ইমরানের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় কর্মরত মার্কিন সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস বলেন, ইমরানের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য কাজের কথা নয়।
তিনি বলেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে তীব্রতা আরও কম হওয়াই কাম্য। গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
অ্যালিস বলেন, কাশ্মীর বিষয়ে ইমরান এত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু চীন নিয়ে নীরব। তিনি বলেন, আমি ওই একই রকমের সচেতনতা দেখতে চাই পশ্চিম চীনে আটক মুসলিমদের ব্যাপারেও। তাদের ওখানে প্রায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের অপমান সহ্যের সময় পেরিয়ে গেছে।
মুসলিমদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, এটা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে লঙ্ঘিত হচ্ছে চীনে আটক তুর্কিভাষী মুসলিমদের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ সমাবেশে প্রশাসন চেষ্টা করছে সে বিষয়ে আলোকপাত করতে।
অপরদিকে ইমরান খান উইঘুর মুসলিমদের প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে তারা ব্যক্তিগতভাবেই কেবল কথা বলতে চান।
টিটিএন/এমএস