আটক যুবককে ছাড়িয়ে নিতে জনতার থানা ঘেরাও
দিনাজপুরের রামনগরে এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহীদুল ইসলাম সুমন (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে আটক যুবককে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় লোকজন শনিবার রাতে কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে। পরে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় কোতয়ালী পুলিশ রামনগর মোড়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এশিয়া টি স্টল থেকে সুমনকে আটক করে পুলিশ। সুমন রামনগর এলাকার তাজে ইসলামের ছেলে।
সুমনকে আটকের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে রামনগর এলাকার লোকজন এসে কোতয়ালী থানায় জড় হয়। এ সময় তারা সুমনের মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন।
পরে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি একেএম খালেকজ্জামান পিপিএম তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর কিছু না পেলে তাকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। এরপরও লোকজন থানা থেকে সরে না গিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে তাদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ওসি। এ সময় তারা থানার সামনের সড়কে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, পুলিশ সুমনকে সন্ধ্যায় আটক করলেও তাকে ছেড়ে না দেয়ায় তারা থানায় এসে তার মুক্তির দাবি করেছেন। সুমন এ হত্যাকাণ্যের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খালেকুজ্জামান পিপিএম জানান, সুমনকে বাদির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কোনো ধরনের ক্লু না পেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু এমন আশ্বাস দেয়ার পরও অযৌক্তিকভাবে তারা থানা ঘেরাও করে। একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে এ সময় অবশ্যই কেউ কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে শহরের রামনগর খেলার মাঠে একটি ঝোপে মকলেসুর রহমান ধলা (২৮) নামে এক পানের দোকানদারকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের অভিযোগ দোকানে বাকি ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকেণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত মকলেসুর রহমান ধলা রামনগর এলাকায় দুলু মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মকসেদ আলী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করলেও সুমন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন দাবি করেন তিনি। এরপর কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় পুলিশ সন্ধ্যায় সুমনকে আটক করে নিয়ে আসে।
এমদাদুল হক মিলন/এসএস/পিআর