সেনাবাহিনীর নির্যাতনের পর কাশ্মীরি কিশোরের আত্মহত্যা
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে প্রচন্ড মারধর ও নির্যাতিত হওয়ার পর সে আত্মহত্যা করে বলে রোববারের এক প্রতিবেদনে দেশটির এক গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরের নাম ইয়ার আহমেদ বাট। তার পরিবার বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে চরম নির্যাতনের পর সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সে বিষপানের মাধ্যমে আত্মহত্যা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইয়ার আহমেদ বাটের পরিবার বলছে, জেলার তাহাব নামের একটি গ্রাম থেকে তাদের সন্তানকে তুলে নিয়ে যায়। যেখানে কিছুদিন আগে একটি গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল। গণমাধ্যমের খবর, ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী।
গত আগস্টের ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি কাশ্মীরের সেনাবাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে সেখানকার মানুষের জবানবন্দিতে উঠে আসে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। ছবিতে দেখা যায়, ভারতীয় সেনারা সেখানকার মানুষজনকে লাঠি, তার দিয়ে মারধর করছে এবং ইলেকট্রিক শক দিচ্ছে।
ইয়ার আহমেদ বাটের বোন বলছে, ‘তাকে গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমার ভাইকে নির্যাতনের পর ছেড়ে দেয়ার সময় তার আইকার্ড (পরিচয়পত্র) কেড়ে নেয়। একইদিন সন্ধ্যায় সে আমাকে জানায় যে সেনাবাহিনী তাকে প্রচন্ড মারধর করেছে।’
তার বোন জানালো, তাকে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত ও মারধরের শিকার হওয়ার কথা বললেও তার ভাই বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানাতে চাচ্ছিল না। আত্মহত্যা করার আগের রাতে ইয়ার আহমেদ বাটকে খুবই হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল বলে জানান তিনি।
এসএ/জেআইএম