যুদ্ধ শুরু হলে তার কোনো সীমানা থাকবে না : ইরান
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে যদি কেউ আগ্রাসন শুরু করে তাহলে তার জবাব এতটা ভয়াবহ হবে যে, সেই যুদ্ধ কোনো সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
ইরানের বিরুদ্ধে যে দেশই যুদ্ধ শুরু করুক না কেন তারা যুদ্ধ শেষ করতে পারবে না। যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে, এমনকি মধ্যপ্রাচের বাইরে সে যুদ্ধ ছড়িয়ে যাবে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস নিউজের ফেইস দ্যা নেশন অনুষ্ঠানকে দেয়া সাক্ষাতকারে গতকাল শনিবার এসব বলেন তিনি।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে সে যুদ্ধ কোনভাবেই ইরানের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবে না। তবে ইরান কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় না তবে কেউ যদি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তারা সে যুদ্ধ শেষ করতে পারবে না।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে ‘অবাধ্য দেশ’ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দফতরের ইরানি মিশনে তার সাক্ষাতকার নেয়া হয়। সিবিএস টেলিভিশন আজ রোববার তা সম্প্রচার করবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বের সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যারামকোর দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র তেহরানকে দায়ী করে সৌদিতে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি বলছে, তারা এই হামলার প্রতিশোধ নেবে।
ইরান, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রচণ্ড সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই খোদ যুক্তরাষ্ট্রে চলছে তখন জাভেদ জারিফ এসব কথা বললেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়েরের দাবি, হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইরানের তৈরি। তবে এসব অভিযোগ বরাবরের মতো নাকচ করে দিয়েছে ইরান।
সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে জাভেদ জারিফ বলেছেন, অ্যারামকো তেল স্থাপনায় হামলার পর সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যে সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে তা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে কোনো ভূমিকা রাখবে না। ইয়েমেন যুদ্ধের সমাধানই মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির উন্নতি একমাত্র পথ।
সিবিএস টেলিভিশনের উপস্থাপক মার্গারেট ব্রেনান জারিফের কাছে জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে সে ব্যাপারে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি কি? জারিফ বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে তাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞা ছাড় নিতে হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে আলোচনরা টেবিলে বসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করে আসছে, তিনি তা সরাসরি নাকচ করে দেন। এ সময় তিনি ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের সাধারণ মানুষ খাদ্য ও জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
Told @margbrennan: You sell me a building, but a year later the person who inherits your company comes & says, you didn't pay enough money, & he wants a better deal for himself & a worse one for me. In which "history", to use Mr. Trump's words, has someone agreed to that? pic.twitter.com/t5v2yWnviR
— Javad Zarif (@JZarif) September 21, 2019
এসএ/এমএস