যুদ্ধের প্রস্তুতি, ইরান যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও বিমানবাহিনী পারস্য উপসাগরের আকাশে যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির যে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার প্রস্তুতি হিসেবেই এমন মহড়া চালাচ্ছে দেশটি।

দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার সকালে এই মহড়া শুরু করেছে ইরান। মহড়ায় দেশটির বিমান বাহিনী ও আইআরজিসির অনেক কমব্যাট, ট্যাক্টিক্যাল, ট্যাঙ্কার যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। আগামী রোববার থেকে ইরানে প্রতিরক্ষা সপ্তাহ শুরু হবে।

সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি পরীক্ষার জন্যই মূলত এই মহড়া শুরু হয়েছে। প্রস্তুতি মহড়ার প্রথম দিন ছিল গত বুধবার। ওইদিন ইরানের যুদ্ধবিমান দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত বন্দর নগরী বান্দার আব্বাসের শহীদ আব্দুল করিমি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে।

ইরান বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হামিদ ভাহেদি গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, মূলত আমাদের প্যারেড প্রতিবেশী দেশগুলোকে শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। রোববার যুদ্ধবিমান ছাড়াও মহড়ায় ২০০টি ফ্রিগেট এবং স্পিডবোট অংশ নিয়ে তাদের নৌশক্তির প্রদর্শন করবে।

জেনারেল ভাহেদি জানিয়েছেন, মূলত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি এবং সক্ষমতা প্রদর্শনের কাজটি করবে এই ব্রিগেড। এছাড়াও সেনাবাহিনী ও ইসল্যামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করাও আরও একটি উদ্দেশ্য।

ইরানের সামরিক বাহিনী শীর্ষ এই জেনারেল পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীতে তার দেশের স্থায়ী নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র এই অঞ্চলের দেশগুলো আমাদের জলসীমার কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

তেহরানের এই সামরিক মহড়া এমন সময়ে শুরু হলো যখন ইরানকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আঞ্চলিক মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।