ইসরায়েলে ভোটগ্রহণ : কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চলতি বছরে ইসরায়েলে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কট্টর ইহুদিবাদী দল লিকুদ পার্টির নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতা দখলে তিনি অতি জাতীয়তাবাদী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি যদি নির্বাচিত হন তাহলে ফিলিস্তিন ভূখন্ডের এক তৃতীয়াংশ দখলে নেবেন। দেশটির মানুষের ফিলিস্তিনি মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দিতে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন। তবে জরিপ বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবারের নির্বাচনে।

গত এপ্রিলে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নেতানিয়াহুর দল বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী না হওয়ায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। সরকার গঠনে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে এমপিরা পার্লামেন্ট ভেঙ্ দিলে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৭ সেপ্টেম্বর।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী এক জরিপ বলছে অনুযায়ী নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির সঙ্গে এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির। দলটির নেতা হলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাবেক প্রধান ও ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা বেনি গান্টস।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের স্থানীয় সময় সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে রাত দশটা পর্যন্ত। দেশটির ৬৩ লাখ ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন। পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ১২০টি।

দেশটির স্থানীয় দৈনিকগুলোতে বলা হচ্ছে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এবারে সরকার গঠনে ছোট ছোট দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে সেসব গণমাধ্যম। প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের নির্বাচনী ইতিহাসে কখনো কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।