ইন্দোনেশিয়ায় দাবানল, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রতিবেশি দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে মালয়েশিয়ার বাতাস দূষিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে তা মালয়েশিয়ার বাসিন্দাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরেই মালয়েশিয়ার বোর্নো দ্বীপের পূর্বাঞ্চলীয় সারাওয়াকের বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে।
বেশ কিছু স্থানে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুচিং এলাকা। সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বসবাস করে।
এদিকে কুয়ালালামপুরের সুউচ্চ ভবনগুলো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে গেছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অনেক জায়গায় শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে বাতিল করা হয়েছে শতাধিক ফ্লাইট। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার সেনা সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কর্তৃপক্ষ মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিমান চলাচলের উপযোগী করে তুলতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু কালো ধোঁয়ার মাত্রা বেড়েই চলছে। আমাদের কাছে সবার আগে নিরাপত্তা। বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় পামসহ বিভিন্ন শস্যের জমিগুলো পরিষ্কার করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগুন লাগিয়ে থাকে- এমন অভিযোগ করে আসছে মালয়েশিয়া সরকার। অভিযোগ অস্বীকার করলেও এরই মধ্যে দাবানলের ঘটনায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে জাকার্তা।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে পরিবেশে বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিষাক্ত ধোঁয়া দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়বে। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্তহওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আর এ কারণেই কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কালো ধোঁয়া কমিয়ে আনতে কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। বিমানে করে রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে দেয়া হবে যাতে করে মেঘ তৈরি হয় এবং তা থেকেই বৃষ্টি হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন,আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের বিষয়গুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করতে পারি না। আমরা এর সমাধান চাই।
এমআরএম/এমকেএইচ