ইমরান খানের স্ত্রী বুশরার রয়েছে পোষা জিন, খাওয়ান মাংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকাকে গত এক বছরে দেশটির মানুষ গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছেন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর এ স্ত্রীকে নিয়ে নানা ধরনের গল্প রয়েছে; কিন্তু তার এই গল্পের রহস্য অজানা।

সব সময়ই হিজাবে মুখ ঢেকে রাখেন তিনি। যদিও ইমরানের সাবেক স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবং রেহাম খান জনসমক্ষে প্রায়ই আসতেন। রেহাম বিবিসিতে সঞ্চালিকা হিসেবেও কাজ করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বুশরাকে অনুসরণ করতে শুরু করেছিলেন ইমরান খান। বেশ কয়েক বছর ধরে তার কাছ থেকে আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শনের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আচমকা বুশরাকে বিয়ে করে চমকে দিয়েছিলেন ইমরান। তার ছয় মাসের মধ্যেই সাবেক এই ক্রিকেটার ও রাজনীতিক দেশের প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বুশরা মানেকার কাছে দুটি জিন রয়েছে। জিন দুটিকে রান্না করা মাংস খাওয়ান বুশরা। তার জেরেই নাকি সব অসম্ভব সম্ভব হয়ে যায়।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একটি গলার আওয়াজ শুনতে পান বুশরা। সেই আওয়াজই তাকে সঠিক পথ বাতলে দেয়। বুশরার পরিবারের এক সদস্যের দাবি, বুশরাকে সেই অশরীরী আওয়াজ জানিয়েছিল, যদি ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হতে চান তবে তাকে সঠিক নারীকে বিয়ে করতে হবে। যদিও এমন দাবিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বুশরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে ইমরানকে তার বোনের সঙ্গে বিয়ে সাড়তে বলেছিলেন বুশরা। আরেকটি অংশের দাবি, বুশরা তার মেয়ের সঙ্গে ইমরানকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর তিনি স্বপ্ন দেখেন। ওই অশরীরীর আওয়াজ তাকে জানায়, পাঁচ সন্তানের মা বুশরাকেই বিয়ে করতে হবে ইমরান খানকে। বুশরার তখনকার স্বামীও ডিভোর্স দিতে রাজি হন।

ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, প্রথম দেখায়ই বুশরাকে দারুণ লেগেছিল ইমরানের। পরে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি কবিতা পড়তে দেন বুশরা। ইমরান সেগুলো বাড়িতে গিয়েও পড়তেন। বুশরা ইমরানকে একটি আংটিও দিয়েছিলেন সৌভাগ্যের জন্য।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।