ভারতের গুলিতে দুই সেনা নিহতের পর পাকিস্তানের ব্যাপক গোলাবর্ষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিয়ন্ত্রণরেখার বালাকোট সেক্টরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এতে ভারতের বেশ কিছু গ্রামের স্কুলে থাকা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে আছে। তারা সেখান থেকে বের হতে পারছে না।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালায় পাক সেনাবাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে মানকোট সেক্টরের কাছে বালনই থেকে তারকুন্দি এলাকায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি গ্রাম গোলাবর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জম্মু এবং কাশ্মীরের বালাকোট সেক্টরের পুঞ্চ জেলায় প্রায় ৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভেতরে আটকা পড়েছে। বিনা উস্কানিতে শনিবার সকালে পাক সেনারা হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে এবং মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে ভারত। ওই এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের হামলার জবাবে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা। গোলাগুলি এখনও চলছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে পাক সেনারা।

একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে সরিয়ে নিয়েছি। তাদের একটি দেয়ালের পাশে লুকিয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই স্কুল ভবন থেকে ৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে কমপক্ষে ছয়বার গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

এদিকে, গত দু'দিনে পাক অধিকৃত আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের হাজিপুর সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানি দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

শনিবার পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজাদ-জম্মু-কাশ্মীরের হাজিপুর সেক্টরে বিনা উসকানিতে গোলাবর্ষণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে ৩৩ বছর বয়সী হাবিলদার নাসির হুসেইন নিহত হয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার হাজিপুর সেক্টরের কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে গোলাম রসুল নামে পাকিস্তানি অপর এক সেনা সদস্যের প্রাণহানি ঘটে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।