প্রকৃত প্রেমিক হোন : হিন্দু-মুসলিম বিয়ে নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের একটি আন্তঃধর্মীয় বিয়ের মামলা ওঠেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। এক হিন্দু নারীর তার মুসলিম প্রেমিককে বিয়ে নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘ধর্মান্তরকরণ নয়, ভালবাসাই আসল। আর এর জন্য স্বামীকে প্রকৃত প্রেমিক হতে হবে।’

ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি তাদের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি বিয়ে করেন ওই যুগল। বিয়েতে স্ত্রীর পরিবারের সম্মতি পেতে নিজেকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন পুরুষটি। তাই নিয়ে মামলা হলে সুপ্রিম কোর্টে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

অবশ্য নারীর পরিবার ধর্মান্তকরণের এই ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলছে, ‘গোটা বিষয়টি পুরুষটির ভালবাসার ভান। কেননা নিজের ধর্ম পরিবর্তন করা অত্যন্ত লজ্জার।’ বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ ওই মামলার প্রেক্ষিতে এমন রায় দেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ বলছে, ‘আমরা কেবল ওই দম্পতির ভবিষ্যত নিয়েই উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তঃধর্মীয় বা আন্তঃবর্ণ বিবাহের বিরোধী নই। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই ব্যক্তির ‘‘অনুগত স্বামী’’ এবং ‘‘মহান প্রেমিক’’ হওয়া উচিত।’

প্রথম থেকেই মুসলিম ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে আপত্তি ছিল পরিবারের। ওই নারীর বাবা অভিযোগ করেন, ‘এটা তার মেয়েকে ফাঁদে ফেলার চাল।’ তবে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মেয়েটির বাবার এমন দাবি খারিজ করে তাকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলেছেন।

নবদম্পতি অর্থাৎ তার মেয়ে ও জামাতাকে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যে শুভকামনা জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া নাম পরিবর্তনের জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়েও আদালত হিন্দু ওই নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বলেন, ‘ধর্মান্তরকরণ নয়, ভালবাসাই প্রকৃত ব্যাপার। আমরা আন্তঃধর্ম বিবাহের বিরোধী নই। আমরা চাই মেয়েটির ভবিষ্যৎ যেন সুরক্ষিত থাকে।’ যদিও ওই নারীর বাবা বলছেন, তার মেয়ের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।