দুপুরেই শেষ ২৩ তারিখের ট্রেনের টিকিট
দুপুরেই শেষ ২৩ সেপ্টেম্বরের রেলের অগ্রীম টিকিট বিক্রি। যদিও কাউন্টারের সামনে বিকেল ৫টা অবধি ছিল টিকেট প্রত্যাশীদের ভীড়।
জানা গেছে, অন্য দিনের মতো শুক্রবার সকাল ৯টা থেকেই কমলাপুরের রেল স্টেশনের ২০টি কাউন্টারে একযোগে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট পেতে অনেকে রাতেই কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকে আবার ২২ তারিখের টিকিট না পেয়ে ২৩ তারখের টিকেট নিতে আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর পরাই টিকিট শেষ হয়েছে গেছে বলে ঘোষণা আসে কাউন্টার থেকে। স্টেশনের মাইকেও একই ঘোষণা বাজানো হলেও টিকিট প্রত্যাশীরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের টিকিট ছাড়াই বিষন্ন মনে ফিরে যেতে হয। আবার ২৪ তারিখের টিকিট নিতে অনেকেই রয়ে গেছেন স্টেশনে।
দিনাজপুরের ইউসুফ নামের এক টিকিট পাওয়া যাত্রী জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এসেছিলেন কমলাপুর স্টেশনে। তবে ২২ তারিখের টিকিট পান নি। তাই রাতে কমলাপুরে থেকে যান। ২৩ তারিখ টিকিট নিতে সকালে আবারো লাইনে দাঁড়ান। তবে কষ্ট হলেও দুপুরের পরপরই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পান তিনি।
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের যাতায়াতে প্রতিদিন টিকিট দেয়া হচ্ছে মোট ১৪ হাজার ছয়শ ৩৩টি। তবে এই সময় যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। তাই সবাইকে টিকিট দেয়া সম্ভব হয় না। দুপুরের মধ্যে আজ টিকিট শেষ হয়ে যায়। যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় টিকিটের পরিমাণ কম হওয়ায় সবাই টিকিট পাননি বলে জানান তিনি।
ডিভিশনাল রেলওয়ের ম্যানেজার আরিফুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন ১৪ হাজার ছয়শ ৩৩ জনের টিকিট পাবার কথা থাকলেও টিকেট বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি।
আগামী ঈদে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ঈদ স্পেশাল সার্ভিস আরও বাড়ানোর ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জেইউ/এএইচ/পিআর