পাক মহাকাশচারীর মুখে ভারতের চন্দ্রাভিযানের প্রশংসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পাকিস্তানের প্রথম নারী মহাকাশচারী নামিরা সেলিম ভারতের চন্দ্রাভিযানের প্রশংসা করলেন। যদিও তার দেশের এক মন্ত্রী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চন্দ্রযান-২ নিয়ে ভারতকে কটাক্ষ করেছিলেন। ভারতের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর পাশে দাঁড়ালেন নামিরা।

গত শুক্রবার রাতে ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণের কয়েক মুহূর্ত আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এ নিয়ে বলেছেন, চন্দ্রযান-২ চাঁদের বদলে মুম্বাইয়ে নেমেছে। কিন্তু নামিরা ভারতের পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি ভারতের প্রশংসা করে বলেন, ‘ইসরোর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ইসরোর এ অভিযান অনেক বড় ঐতিহাসিক একটি পদক্ষেপ। শুধু দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া নয় এর ফলে পুরো বিশ্ব লাভবান হবে। ইসরো অনেকাংশে সফল হয়েছে।’

পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়ীকী ‘সায়েন্টিয়া’-কে নামিরা বলেন, ‘আমি ভারত ও ইসরোকে চাঁদে তাদের অবতরণের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই। তারা চাঁদের দক্ষিণ অংশে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে অবতরণ করানোর চেষ্টা করেছিল। তাদের প্রচেষ্টা শতভাগ সফল হলে সারা বিশ্ব উপকৃত হত।’

গত শুক্রবার চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় অবতরণ করার সময় চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো)।

ইসরোর কর্মকর্তারা পরে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত অবতরণের আগে ওই রোবোটিক গবেষণা যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে। তারা সেটির অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে সেটির সঙ্গে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ইসরো।

Namira Selim

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।