কাশ্মীর-আসাম নিয়ে জাতিসংঘের ‘গভীর উদ্বেগ’
ছয় সপ্তাহ হয়ে গেলো ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর অবরুদ্ধ। গতকাল ফের কারফিউ জারি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান সোমবার বলেছেন, গত মাসে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে মাধ্যমে ভারত সরকার যা করছে তাতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশের ব্যাচলেট বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ বন্ধ, গণগ্রেফতার ও দমনপীড়নের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে যা করছে তার প্রভাব নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের সরকারকেই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ও সুরক্ষিত করতে অনুরোধ জানিয়ে আসছি। আমি বিশেষ করে ভারতের কাছে কাশ্মীরের বর্তমান অবরুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান ও কারফিউ তুলে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
গ্রেফতারকৃতদের মানবাধিকার নিশ্চিতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেসব সিদ্ধান্ত তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে বলে মত তার।
কাশ্মীরের পাশাপাশি আসাম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মিশেল ব্যাচলেট। আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) মাধ্যমে ‘অনুপ্রবেশকারী’ চিহ্নিত হয়ে ১৯ লাখ মানুষের বাদ পড়া যে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি করেছে তা নিয়েও চিন্তিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান।
তিনি এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন যথাযথ কার্যাবলী নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নির্বাসন কিংবা বন্দিত্ব রোধ এবং মানুষকে রাষ্ট্রহীন হওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এসএ/এমএস