চাঁদের মাটিতে বড়সড় ধাক্কা, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত চন্দ্রযান ২?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চাঁদের মাটিতে নামার আগ মুহূর্তে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ইসরোর একমাত্র ভরসা ছিল অরবিটার। অরবিটারের তোলা ছবিই জানিয়েছে যে, চাঁদের বুকেই রয়েছে বিক্রম।

পরিকল্পনা অনুযায়ী বিক্রম কাজ শুরু করতে পারবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসরোর হাতে সময়ও খুব কম। ১৩ দিনেই শক্তি শেষ হয়ে যাবে ল্যান্ডার ও রোভারের। তার আগেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরো।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান কে শিবন পিটিআইকে বলেন, চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারের খোঁজ মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে চাঁদের মাটিতে হার্ড ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম। তবে এর কারণে বিক্রম কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

হার্ড ল্যান্ডিং হলে বিক্রমের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন যে, ল্যান্ডার নির্ধারিত গতিতে ল্যান্ড করেনি এবং চারটি পায়ের ওপরেও ল্যান্ডিং করেনি। ফলে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিক্রম এবং বেশ ক্ষতিও হয়ে থাকতে পারে।

রোভার প্রজ্ঞান এখনও বিক্রমের ভেতরেই রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চন্দ্রযান ২-এর অনবোর্ড ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা ছবিতে ল্যান্ডারের ছবি দেখে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, চন্দ্রযান ২ এর অরবিটার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে এবং সঠিকভাবে কাজ করছে।

শনিবার চাঁদের বুকে নামার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থা করছিল।

ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিক্রম যেহেতু চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে তাই প্রজ্ঞানকে নিয়েও আশা শেষ হয়ে যায়নি। আর তাই সেখান থেকে তথ্য মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।