যুক্তরাষ্ট্রই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে : তালেবান
শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছে তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী। রোববার তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ক্যাম্প ডেভিডে তালেবান নেতাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আফগানিস্তানের ১৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধ আর সংঘাতের সমাপ্তি ঘটাতে তালেবানের সঙ্গে এই শান্তি আলোচনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি আফগানিস্তানে বোমা হামলায় এক মার্কিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শান্তি আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে তালেবান।
তালেবানের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শান্তি আলোচনায় সবকিছুই ঠিকমতো চলছিল। শান্তি আলোচনা বাতিলের কারণে আমেরিকানদের আরও বেশি প্রাণহানি ঘটবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
তালেবানের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তি আলোচনা বাতিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্রেরই বেশি ক্ষতি হবে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের শান্তিবিরোধী অবস্থান বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাবে।
শান্তি আলোচনা বাতিলে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিপক্বতা এবং অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, তালেবান এবং আফগান সরকার আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। তবে আফগান সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি জালমাই খালিলযাদ গত সোমবার জানিয়েছিলেন, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুমোদন দিলেই তা স্বাক্ষরিত হবে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তালেবানের সঙ্গে খালিলযাদ নয় দফা বৈঠক করে ওই সমঝোতার খসড়া চূড়ান্ত করেছিলেন। ওই সমঝোতার মূল ধারা ছিল আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৫ হাজার ৪শ সেনা প্রত্যাহার। বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
টিটিএন/এমকেএইচ