পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু, ফের বাংলাদেশকে দায়ী করলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ার জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন তিনি।

কলকাতার দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন বলছে, বিধানসভায় মমতা যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তাতে বলা হচ্ছে, রাজ্যটির যেসব জেলা ডেঙ্গু আক্রান্ত তার বেশিরভাগ সীমান্ত লাগোয়। তাই তিনি এর দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছেন। তার মতে, বাংলাদেশের কারণেই এসব জেলা ডেঙ্গুর কবলে পড়েছে।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গেও ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের মে মাসে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে দায় দিয়েছিলেন।

বিধানসভায় মমতার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলার মানুষ। তাই তিনি চান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ১৩ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্ত এলাকা উত্তর চব্বিশ পরগণাসহ সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গুর ধরণ আলাদা।’

মমতা আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অনেকেই নিজেদের বাড়ির মধ্যে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেন না। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি এর জন্য জনেসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

মমতা বলেন, ‘আমার পক্ষে হাসিনা সরকারকে বলাটা শোভনীয় নয়। এটা বলা কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমরা কেন্দ্রকে ‘উপদেশ’ পাঠাতে পারি। আমি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আবেদন করব, আপনারাও ব্যাপারটা দেখুন। কারণ, সংক্রামক ব্যাধি যে আন্তর্জাতিক বেড়া মানে না।’

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।