অন্তর্বাসের দোকানে গোপনে নারী সাংবাদিকের অর্ধনগ্ন ভিডিও ধারণ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গ্রেটার কৈলাস এলাকার একটি অন্তর্বাসে দোকানের ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরায় নারী সাংবাদিকের অর্ধনগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে।
ওই নারীর অভিযোগ, শুধু ছবি তোলাই নয়, ট্রায়াল রুমে যখন কাপড় পরিবর্তন করছিলেন, তখন দোকানের মালিক সেই দৃশ্য লাইভ দেখেছেন। ২৭ বছর বয়সী ওই নারী সাংবাদিক দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, আরও অনেক নারীর ভিডিও ফুটেজ ওই দোকান মালিকের কাছে রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-সি ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই নারী বলেছেন, দোকানে অন্তর্বাস কিনতে গিয়ে তার অর্ধনগ্ন ভিডিও দোকান মালিক গোপন ক্যামেরায় ধারণ করেছেন গত ৩১ আগস্ট। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় ৩ দিন পর। গ্রেটার কৈলাস এলাকার এম ব্লক মার্কেটের একটি অন্তর্বাসের দোকানে যান ওই সাংবাদিক।
অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, ‘কিছু জিনিস পছন্দ করার পর এক নারী কর্মীকে ট্রায়াল রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি। তার নির্দেশ মতো একটি ঘরে গিয়ে আমি সবগুলো পোশাক ট্রায়াল দিয়ে দেখি। ১০ মিনিট পর ওই নারী কর্মী ভেতরে ঢুকে অন্য রুমে যেতে বলেন। কারণ হিসেবে কর্মী বলেন, ওই রুমে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।’
কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। অভিযোগকারী নারী বলেন, ‘এর মধ্যে ওই নারী প্রায় জোর করে অন্য একটি রুমে গিয়ে ট্রায়াল দিতে বলেন। সেই সময় আমি কার্যত অর্ধনগ্ন ছিলাম। আমি দেখতে পাই ওই রুমের বাইরেই দোকানের মালিক এবং আরও এক ব্যক্তি বসে ছিলেন। আমি তাদের দেখেই সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরে ফেলি এবং রুমের বাইরে বেরিয়ে আসি।’
এ ঘটনার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে ফোন করেন। তার বক্তব্য, ‘ওই সময় দোকানদার আমার লাইভ ফুটেজ দেখছিলেন। পরে তাকে আশ্বস্ত করেন, সব ছবি মুছে ফেলা হয়েছে এবং কোনো কিছুই সেভ করা হয়নি।’
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের ডেটাবেস ঘেঁটে আরও অনেকের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।
ভারতে ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরার নজির আগেও রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটির তৎকালীন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী এবং বর্তমানে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি গোয়ায় ফ্যাবইন্ডিয়ার শো রুমের ট্রায়াল রুমে গোপন ক্যামেরা দেখতে পান। সেই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে। আনন্দবাজার।
এসআইএস/এমকেএইচ