কাশ্মীর আমাদের ধমনী, এর জন্য শেষ বুলেট পর্যন্ত লড়বো : পাক সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী কাশ্মীর নিয়ে যেকোনো ধরনের আপসকামী চুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে, পাকিস্তানের সেনাদের লাশের ওপর দিয়ে এ ধরনের চুক্তি হতে পারে।

পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি কাশ্মীরের জনগণকে এই বার্তা দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

কাশ্মীরকে পাক সামরিক বাহিনীর জন্য ‘ধমনী’ উল্লেখ করে জেনারেল গফুর বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যা প্রয়োজন তার সবই করতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, কাশ্মীর হচ্ছে আমাদের ধমনী এবং এর জন্য আমরা শেষ বুলেট পর্যন্ত, শেষ সেনা এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করব। জেনারেল গফুর ভারতকে সতর্ক করে বলেন, যখন কোনো জাতির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে তখন তারা যুদ্ধ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু করার জন্য আমাদের অর্থনীতি দুর্বল নয়, আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সাহায্যের জন্য আমরা আমাদের পকেটের দিকে তাকাবো না।

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার আমেরিকা সফরের সময় কাশ্মীর নিয়ে চুক্তি হয়েছে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, এটি সম্পূর্ণভাবে গুজব, এর কোন ভিত্তি নেই।

তিনি বলেন, আপনারা কি করে ভাবেন যে, কাশ্মীর ইস্যুতে এই ধরনের চুক্তি সম্ভব? কাশ্মীর নিয়ে যেকোনো ধরনের চুক্তি হবে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে। গত ৭২ বছর ধরে কাশ্মীর সম্পর্কে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে, এখন কেন পরিবর্তন হবে?

আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, সামরিক বাহিনী পাকিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে। ভারত যদি কোনোরকম মিথ্যা অজুহাত তুলে আগ্রাসনের চেষ্টা চালায় তাহলে তার কঠোর এবং দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ভারতকে জানা উচিত যে, যুদ্ধ শুধু অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে হয় না; এর জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতা, কৌশল এবং আত্মোৎসর্গের প্রতিশ্রুতি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে এর সবই রয়েছে। পার্সট্যুডে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।