আসামকে ‘সুরক্ষিত’ ঘোষণা, সাংবাদিকদের রাজ্য ছাড়ার নির্দেশ!
অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) প্রকাশের পর আসামকে প্রোটেক্টেড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে। আসামের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়ায় আসামকে প্রোটেক্টেড এলাকার শ্রেণিভুক্ত করে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। একই সঙ্গে বিদেশি সাংবাদিকদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে এ খবর আসার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতি জারি করে। এতে বলা হয়, আসামে কোনো ধরনের প্রোটেক্টেড এরিয়া পারমিট (পিএপি) কিংবা রেসট্রিক্টেড এরিয়া পারমিট (আরএপি) ঘোষণা দেয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে যেকোনো দেশের সাংবাদিক আসাম সফর করতে পারবেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বিদেশি যেকোনো সাংবাদিক, তারা ভারতভিত্তিক কিংবা ভারতের বাইরের হলেও আসাম সফরে যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতিপত্র দেয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবে পরামর্শ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আসাম প্রদেশে কোনো ধরনের পিএপি কিংবা আরএপির প্রয়োজন নেই।
প্রদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আসামে কর্মরত বিদেশি সব সাংবাদিককে রাজ্য ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থানীয় গণমাধ্যমের এ খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলছে, এই তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সঠিক নয়।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা ভুল এবং অসত্য। পররাষ্ট্র কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করেনি।
গত ৩১ আগস্ট আসামের বহুল আলোচিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় ৩ কোটির বেশি মানুষ নাগরিকত্ব পেলেও বাদ পড়েছেন প্রায় ১৯ লাখ। বাদ পড়াদের অধিকাংশই বাঙালি এবং বাংলাদেশি। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা অবৈধ বাঙালি অভিবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়ে আসছেন।
এমনকি রাজ্যের একজন মন্ত্রী দু'দিন আগে বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
সূত্র : বিজনেস স্টান্ডার্ড।
এসআইএস/এমএস