শান্তি চুক্তির মধ্যে কাবুলে তালেবান হামলায় নিহত ১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয় ও গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত এক ভবনে সোমবার শেষরাতে গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খসড়া শান্তি চুক্তি হওয়ার পরপরই হামলাটি হয়। তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আফগান সরকারের মুখপাত্র ফিরোজ বাশারি বলেছেন, কাবুলের গ্রিন ভিলেজ কমপাউন্ডের ওই হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ১১৯ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ওই ভবন থেকে চার শতাধিক বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

আফগানিস্তান বিষয়ক মার্কিন ‘শান্তিদূত’ খলিলজাদের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের সময় হামলাটি চালানো হয়। এটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করা হচ্ছে। হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, বিস্ফোরণে অনেকগুলো ঘর ও দফতর ধ্বংস এবং বহু দখলদার নিহত হয়েছে।

সোমবার যখন তালেবান ওই হামলাটি করে তার কয়েক ঘণ্টা আগে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া আনতে নিয়োজিত মার্কিন প্রতিনিধি জালমেয় খলিলজাদ শান্তি চুক্তির মুল বিষয়ের বিস্তারিত জানান। চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি থেকে ৫ হাজার ৪০০ সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তার আগে মার্কিন প্রতিনিধি জালমেয় খলিলজাদ বলেন, তারা একটি খসড়া শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন। যার ফলে দেশটিরে পাঁচটি সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি স্বাক্ষরের ১৩৫ দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে।

আফগানিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টোলো নিউজকে খলিলজাদ বলেন, সামরিক ঘাঁটিগুলো থেকে ৫ হাজারের বেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। বর্তমানে আফগানিস্তানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আর দেশটিতে যুক্তরারষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে মোট সাতটি।

যুক্তরাষ্ট্রের আফগান শান্তি বিষয়ক ওই প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছি তবে এটি চূড়ান্ত নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে অনুমোদন দিলেই সেটি চূড়ান্ত হবে।’ যেসব অঞ্চলে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে সেসব অঞ্চল এখন ‘শান্ত’ বলে দাবি করেন তিনি।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।