পারমাণবিক হামলা থেকে বাঁচার উপায় শেখাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম (ভিডিও)
অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় পাক-ভারত উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। গত কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ভারতে পারমাণবিক বোমা হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। রোববার পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী আগামী অক্টোবর এবং নভেম্বরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধ হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই পারমাণবিক যুদ্ধই হবে পাক-ভারত শেষ যুদ্ধ। কাশ্মীর নিয়ে যখন পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে হামলার হুমকি-পাল্টা হুমকি চলছে; ঠিক সেই সময় বিতর্কের মুখে পড়েছে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি নিউজ।
সোমবার ভারতীয় অপর সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ইন এক প্রতিবেদনে বলছে, পারমাণবিক হামলা হলে কীভাবে রক্ষা পাবেন? হামলা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে দর্শকদের বেশ কিছু কৌশল জানিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করেছে জি নিউজ।
এসেল গ্রুপের এই গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরস তৈরি হয়েছে। জি নিউজের সংবাদ উপস্থাপক সুধির চৌধুরী পারমাণবিক বোমা হামলা হলে কী করতে সেই কৌশল জানাতে গিয়ে বলেন, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটলে পেছনের বিস্ফোরণ স্থানের দিকে তাকানো যাবে না। বরং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশপাশের শক্তিশালী ভবনের বেসমেন্টের দিকে দৌড়ে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নেবেন।
পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ যাতে শরীরে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য পুরো শরীর ভারী কাপড়ে ঢেকে দিতে হবে বলে প্রতিবেদনে জানান সুধির চৌধুরী।
In other news of the day, Zee News has issued tips on how to survive a nuclear attack. Good Luck.pic.twitter.com/WyoIYL4oFj
— SamSays (@samjawed65) September 2, 2019
পাক-ভারত সম্পর্ক যে ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হামলার শঙ্কা আরো ঘনীভূত হচ্ছে সেই ভীতিকেই বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমের এই প্রতিবেদন।
গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে ইসলামাবাদ-নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত শুক্রবার মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে দু'দেশের উত্তেজনা সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে যেতে পারে।
বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ইমরান খান লিখেছেন, কাশ্মীর এবং কাশ্মীরিদের ওপর ভারত যে নিপীড়ন চালাচ্ছে তা বন্ধের জন্য বিশ্ব যদি কিছুই না করে, তবে তা বিশ্বকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। কারণ কাশ্মীর ইস্যুতে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ওই নিবন্ধ প্রকাশের দু'দিন পর সোমবার ইসলামাবাদে শিখ সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই পারমাণবিক অস্ত্রধারী এবং উত্তেজনা বাড়তে থাকলে বিশ্ব শান্তি হুমকির মুখে পড়তে পারে। যে কারণে পাকিস্তান কখনই সামরিক সংঘাত শুরু করবে না।
এসআইএস/এমএস