পাল্টা পরমাণু হামলায় সক্ষম পাকিস্তান


প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পাকিস্তানের সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব লে. জেনারেল নাঈম খালিদ লোদি বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পরমাণু বোমা হামলা চালানোর সক্ষমতা তার দেশের আছে। রাজধানী ইসলামাবাদ ভিত্তিক থিংক ট্যাংক স্ট্রাটেজিক ভিশন ইন্সটিটিউট (এসভিআই)’র সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

সাবেক এই প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, প্রচলিত অস্ত্রে ভারতের একক প্রাধান্য রয়েছে। তবে  এর মোকাবেলায় পাকিস্তানের পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। শত্রুর হামলায় ভূমি ভিত্তিক প্রধান পরমাণু বোমার ভাণ্ডার অকেজো হয়ে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে শত্রুকে জবাব দেয়ার সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বোঝাতে সেকেন্ড স্ট্রাইক বা পাল্টা পরমাণু হামলা শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

নাঈম খালিদ লোদি বলেন, প্রচলিত অস্ত্রে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ভারসাম্যহীনতা দিনে দিনে বাড়ছে। এ সত্ত্বেও পরমাণু বোমার ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সমতা বজায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্ভরযোগ্য।

পাল্টা পরমাণু হামলা ব্যবস্থা ভূমি, আকাশ বা সাগর ভিত্তিক হতে পারে কিন্তু এ সত্ত্বেও পাকিস্তানের এ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশদ কোনো তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকেন খালিদ লোদি।

পাল্টা পরমাণু হামলা নিয়ে আলোচনার সময়ে এসভিআই্’এর সভাপতি ড. জাফর ইকবাল চিমা বলেন, পাকিস্তানের এ সংক্রান্ত সক্ষমতা উন্নত হয়েছে। তিনি আরো জানান, পরমাণু বোমাবাহী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হাতেফ-৭ বা বাবর মোতায়েনের মধ্য দিয়ে এ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটে। বিমান বা প্রচলিত ডুবোজাহাজ থেকে হাতেফ-৭ বা বাবর ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যায়।

এ ছাড়া, বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য হাতেফ-৮ বা রা’দ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের এ সক্ষমতা আরো বেড়েছে বলেও জানান তিনি। ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোর সেরা পন্থা বলে উল্লেখ করেন ইকবাল চিমা।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।