সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ও বাঙ্কার নির্মাণ করছে পাক সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারতের তীব্র উত্তেজনার মাঝে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বেশ কিছু উদ্বেগজনক খবর আসছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ বলছে, ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় যেভাবে সীমান্তে বাঙ্কার তৈরি করেছিল পাকিস্তান; বর্তমানে সেভাবেই বালতোরো সেক্টরের কাছে স্কার্দু এলাকার সম্মুখভাগে বাঙ্কার নির্মাণ করছে পাক সেনাবাহিনী।

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের স্কার্দু এলাকার সম্মুখভাগের বিপরীত পাশেই কারগিলের অবস্থান। একেবারে সীমান্ত রেখা ঘেঁষে এই বাঙ্কার তৈরি করছে পাকিস্তান।

টাইমস নাউ বলছে, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- পাকিস্তান সীমান্ত রেখা ঘেঁষে ১০ থেকে ১২ ফুট এবং কোথাও কোথাও ২০ থেকে ১২ ফুট উঁচু বাঙ্কার তৈরি করছে। এর মধ্যে প্রায় ছয়টি বাঙ্কারের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, বাঙ্কারগুলো পাকিস্তানের কমান্ড পোস্ট হতে পারে। এটি দুটি কারণে করতে পারে। পাকিস্তান ওই এলাকায় তাদের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো কিংবা অস্ত্র মজুদের জন্য অথবা সেখানে স্থাপনা তৈরির সম্ভাবনা আছে।

নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে পাকিস্তান এমন এক সময় এ ধরনের বাঙ্কার তৈরি করছে, যখন প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধের দামামা দিনে দিনে বেড়ে চলছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর প্রতিবেশি পারমাণবিক অস্ত্রধারী এ দুই দেশের মাঝে কথার লড়াই শুরু হয়।

পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক সব প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। গত ১৬ আগস্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার এক বৈঠকে কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক হলেও বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে কোনো ধরনের বিবৃতি দেয়নি নিরাপত্তা পরিষদ।

কাশ্মীর সঙ্কটকে কেন্দ্র করে ভারতকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি আগামী অক্টোবর অথবা নভেম্বরে ভারতের সঙ্গে শেষবারের মতো পারমাণবিক যুদ্ধ হতে পারে বলে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হুমকিও দিয়েছেন।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।