১ মাস পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা কাশ্মীরের দুই মুখ্যমন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিকে প্রায় এক মাস আগে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে তারা কোনো স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি। প্রায় এক মাস পরে অবশেষে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট তাদের গ্রেফতার করা হয়। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেয়ার মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয়। একই সঙ্গে কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের আগে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা' হিসেবেই সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
ওমর আবদুল্লাহর পরিবার চলতি সপ্তাহে দু'বার শ্রীনগরের হরি নিবাসে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক পদক্ষেপের পরপরই আবদুল্লাহকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তার বোন সাফিয়া এবং তার সন্তানদেরও শনিবার ২০ মিনিটের জন্য আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার মেহবুবা মুফতির মা ও বোনকেও তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পিডিপি সভাপতি মুফতি চেসমাশাহীতে পর্যটন বিভাগের একটি আবাসে রয়েছেন। ওই ভবন এখন সাব-জেল হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওমর আবদুল্লাহর বাবা এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের কোনো অনুমতিও দেওয়া হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত কয়েক সপ্তাহে তিনবার তাকে দেখতে গিয়েছেন। তবে বারবার তার ছেলের সাথে দেখা করতে চাওয়ার অনুরোধ করলেও তা অস্বীকার করা হয়।
ওমর আবদুল্লাহ বা মেহবুবা মুফতিকে কোনো চ্যানেলে সংবাদ দেখা বা সংবাদপত্র পড়ারও অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে কর্মকর্তারা প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে সিনেমা দেখার জন্য একটি ভিডিও প্লেয়ার পাঠিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ বই পড়েন এবং নিয়মিত হরি নিবাসের চত্বরে হাঁটাহাটি করেন।
যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা ধীরে ধীরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করছে তবে রাজনৈতিক নেতাদের শিগগিরই মুক্তি পাওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। গভর্নর সত্য পাল মালিক সম্প্রতি কৌতুক করে বলেছেন যে, বন্দি ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতির পক্ষে বন্দি থাকাই উপকারী কারণ যখন তারা বেরোবেন আরও বেশি ভোট পেতে পারবেন।
টিটিএন/পিআর