পাক কমান্ডো হামলার খবরে ভারতে সতর্কতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯

পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনী হামলা করতে পারে এমন খবর দেশের গোয়েন্দা বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কাছ থেকে পাওয়ার পর ভারতের দুটি প্রধান সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের ‘প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী’ ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সতর্কতা জারি হওয়া ওই বন্দর দুটি হলো বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালিত দ্য মুন্দ্রা বন্দর এবং অপরটি রাষ্ট্র পরিচালিত কেন্ডালা বন্দর। ভারতের এই দুটি প্রধান বন্দর দেশটির গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত। বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী নাশকতা চালানোর জন্য কুচ উপসাগরের পশ্চিম উপকূলে প্রবেশ করেছে। কেন্ডালা বন্দর কর্তৃপক্ষও উল্লিখিত তথ্যটি তাদের নির্দেশনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানিয়েছে।

কেন্ডালা বন্দর পরিচালনাকারী ট্রাস্টের সচিব ভেনু গোপাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদেরকে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।

মুন্দারা বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী কোম্পানি আদানি গোটা বন্দরের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জানি করেছে। তারা ওই নির্দেশনায় বন্দরের সকল জাহাজের জন্য নিরাপত্তা জোরদার ও সতর্ক পাহারা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে। কোম্পানির মুখপাত্র এ খবরি নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু তিনি এটা বলেছেন, নিরপত্তাবাহিনী এমন যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তা মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত রয়েছে।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কাছে ভারতের এমন দাবি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা রয়টার্সকে বলে, ভারতের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। দেশটির দাবি, ‘ভারত সরকার গোটা বিশ্বের নজর কাশ্মীর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এমন কোনো অভিযান চালাচ্ছি না।’

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।