ব্রেক্সিট কার্যকরে পার্লামেন্ট স্থগিত করলেন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৯

সব গুঞ্জন সত্য করে অবশেষে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির পার্লামেন্ট স্থগিত করে দিলেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানোর পর তাতে সম্মতি দিয়েছেন রানি এলিজাবেথ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতীকী রাজতন্ত্রে সরকারের অনুরোধ পালনে বাধ্য থাকেন রানি। তাই রানিকে অনুরোধ জানানোর পরই নিশ্চিত হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের চাওয়া পূর্ণ হতে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সেপ্টেম্বরে অধিবেশন শুরু হবে। বরিস জনসনের অনুরোধ ও রানি এলিজাবেথের তাতে সম্মতি দেয়ার মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই পার্লামেন্ট স্থগিত করা হবে।

বরিস জনসন পার্লামেন্ট স্থগিত করতে যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরেই ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোতে এমন খবর শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পনা সত্য হলো। যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার ব্রেক্সিট কার্যকরে পরবর্তী সময় নিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবে।

ব্রেক্সিট কার্যকরে তার অবস্থান নিয়ে যাতে কেউ বিরোধিতা করতে না পারে তার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বরিস। বিবিসি বলছে, বিরোধীদল লেবার পার্টির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলেরও অনেক এমপি জনসনের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।

দুই দফা বিলম্বিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ভাষণেই জানান, এই তারিখ পেছাতে নারাজ তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তি হোক বা না-হোক ওই তারিখেই তিনি ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন।

বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন বলেছেন, ‘পার্লামেন্ট স্থগিত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী যা করছেন তার মাধ্যমে তিনি আমাদের গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস ও দখল করেছেন। প্রথমত আমরা যেটা করবো তা হলো আইনের মাধ্যমে তিনি যা করতে চাচ্ছেন তা ঠেকানো।’

যুক্তরাজ্যে এর আগে দুই দফা পার্লামেন্ট স্থগিতের নজির রয়েছে। যা ছিল যথাক্রমে ৪ দিন ও ১৩ দিনের। জনসন সরকারের এবারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মোট ২৩ কার্যদিবসের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত থাকবে। যা আগে কখনো হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘ভাবশিষ্য’ বরিস জনসনের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেছে, তিনি যা করেছেন তা যুক্তরাজ্যের মানুষের ভালোর জন্য করেছেন। বিরোধী নেতা জেরমি করবিনকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, তিনি বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও তা পাস করাতে ব্যর্থ হবেন।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।