কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ বাতিলের পর প্রথমবারের মতো উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সোমবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে গুর্জার সম্প্রদায়ের দু’জনকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত অপহৃত দ্বিতীয় জনের খোঁজ চালানো হলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলওয়ামা জেলার ত্রালের বনাঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয় গুর্জার সম্প্রদায়ের ওই দুই সদস্যকে। এর মধ্যে আব্দুল কাদীর কোহলির বাড়ি রাজৌরিতে। অপরজন মঞ্জুর আহমেদ শ্রীনগরের খোনমোহ অঞ্চলের বাসিন্দা।
ত্রাল থেকে এই দু’জনকে তুলে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশিতে নামলে, আব্দুল কাদীর কোহলির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
গত ৫ আগস্ট বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর এটাই প্রথম উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা। যদিও কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মোড়া রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকার অধিকাংশ অঞ্চল। কিন্তু এতো নিরাপত্তার পরেও এমন হামলার ঘটনা নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে স্বাভাবিক জন-জীবন পঙ্গু হয়ে পড়েছে। দোকানপাট খুলছে না। লোকজনও রাস্তায় নামছে কম। অধিকাংশ রাস্তায় যানবাহনও চলছে না। ফলে, এখনও অঘোষিত কারফিউয়ের মধ্যেই রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা।
এর আগে গত ২০ আগস্ট কাশ্মীরের বরামুলায় অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি। সে সময় সংঘর্ষে স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের এক কর্মকর্তাও নিহত হন। আহত হন আরও এক পুলিশ সদস্য।
টিটিএন/পিআর