সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অজানা কিছু কাহিনী


প্রকাশিত: ০৬:৩৩ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু, রয়ে গেছে তার সব কর্ম। জীবন চলার পথে অসংখ্য ভালো কাজ করে গেছেন তিনি। অথচ তার এসব কাজ এখনো অনেকের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।

১. সৈয়দ মহসিন আলীই একমাত্র মন্ত্রী যিনি নিজ বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

২. তিনেই একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন, যার বসবাসকৃত বাড়িতে একজন ভিক্ষুকও যেকোনো সময় বিনা বাধায় তার ঘরে গিয়ে দেখা করতে পারতেন।

৩. তার ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল নম্বর ছিলো না। যে কেউ যেকোনো সমস্যা নিয়ে তাকে মোবাইল করতেন। আর তিনি নিজেই ফোন ধরতেন। সমস্যার সমাধানে শতভাগ চেষ্টা করতেন।

৪. তার বাড়ির কোনো সীমানা প্রাচীর নেই।

৫. তাকে বলা হয় গণমানুষের অভিভাবক। যিনি মিল্টন রোড়ে ৬০ লাখ টাকা ধার করে গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাড়ি তৈরি করেছেন।

৬. তিনি এমনই নেতা ছিলেন, যার কারণে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা কখনো নিজেদের বিরোধী দল বলে ভাবতেন না।

৭. সৈয়দ মহসীন আলী ঢাকার তার বাড়িটা আশ্রয়হীন মানুষদের দান করে গেছেন।

৮. তিনি নিজ খরচে অসংখ্য মানুষকে ক্যান্সার, লিভার, কিডনি, ফুসফুসসহ নানান রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন।

৯. সৈয়দ মহসীন আলী ক্যান্সারে আক্রান্ত ২১ জনকে বিদেশ পাঠিয়ে নিজ খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

১০. তিনি স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের পাগলের মতো স্নেহ করতেন। গত এপ্রিলে ক্যান্সারে আক্রান্ত দুই স্কুল শিক্ষার্থীকে বিদেশ পাঠিয়েছেন চিকিৎসার জন্য।

১১. সৈয়দ মহসিন আলী এমনই মন্ত্রী ছিলেন যে কখনো পুলিশ এসে নিরাপত্তা দেয়ার প্রয়োজন পড়েনি।

১২. সৈয়দ মহসিন আলী অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকেছেন সবসময়। নিজের উপার্জনের সবটুকু বিপদগ্রস্ত মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজ এলাকায় একটা কথা প্রচলিত ছিলো- ‘মহসিন আলী যে টাকা হাতে পেয়েছেন তা নিজের জন্য যতটা না খরচ করেছেন তার চেয়ে বেশি অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন।

১৩. সৈয়দ মহসিন আলী গানের পাগল ছিলেন। এনিয়ে তাকে জীবদ্দশায় অনেক কটূক্তি-সমালোচনার মুখে পড়তেও হয়েছে। তিনিই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র মন্ত্রী, যিনি সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘নাশকতাকারীদের দেখামাত্রই গান শুনিয়ে দিবো’

১৪. সৈয়দ মহসীন আলী সেই ব্যক্তি যিনি অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় বাড়ির পরিচালক জনিকে বলেন ‘জনি তুমি এখানে? এখনই বাসায় যাও। আমার রোগীরা যেন সুচিকিৎসা পায়, তাদের যেন যত্নের কমতি না হয়। সেদিকে খেয়াল রেখো।’

১৫. সৈয়দ মহসিন আলী এমনই উদার ছিলেন যার কারণে এখন নিজ এলাকার বাড়িতে এসে হাজার হাজার মানুষ অশ্রু ঝরিয়ে যাচ্ছেন।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।