কাশ্মীর সীমান্তে ভারতের গোলাবর্ষণ, দুই পাকিস্তানি নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৯
সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাক অধিকৃত কাশ্মীর লক্ষ্য করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ছোড়া গুলিতে পাকিস্তানি দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত একজন। সোমবার পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলে সীমান্ত লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। গুলিতে দু’জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
হিমালয় অঞ্চলের এই উপত্যকায় প্রায়ই দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে প্রতিবেশি চিরবৈরী দেশ দুটির মাঝে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গত ৫ আগস্ট। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। দুই দেশই পাল্টাপাল্টি পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে আসছে।
কাশ্মীরে কারফিউ জারি, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশির মাঝে বিভক্ত কাশ্মীর। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশ ছাড়াও কাশ্মীরের অপর অংশের মালিকানা দাবি করছে উভয় দেশ।
সোমবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই রোববার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গোলাবর্ষণ করেছে। অধিকৃত কাশ্মীরের হট স্প্রিং ও চিরিকোট গ্রামের সীমান্তের কাছে গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের দুই বেসামরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
পাক এই মন্ত্রণালয় বলছে, সীমান্তে অব্যাহত অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় এক রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান; এর মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়েছে কাশ্মীরের মালিকানা কেন্দ্র করে।
ভারত বলছে, কাশ্মীরের অচলাবস্থা নিরসনে ধীরে ধীরে ফোন সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় সরকারি বাস সেবা চালু করা হয়েছে। তবে কাশ্মীরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শ্রীনগরে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : রেডিও ফ্রি ইউরোপ, এপি।
এসআইএস/এমএস