মমতাকে ছেড়ে বিজেপিতে কলকাতার সাবেক মেয়র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৯

কয়েক মাস আগে রাজনীতি থেকে বিশ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গুঞ্জন উঠেছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অবশেষে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন তিনি।

আজ বুধবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শোভনের পাশাপাশি দিল্লির পথে শোভনের সঙ্গী তার রাজনৈতিক সতীর্থ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া মুকুল রায়। তাদের সঙ্গে আছেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী।

প্রসঙ্গত, বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে গত বছরের নভেম্বরে কলকাতার মেয়র ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন মমতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনে আসন খুঁইয়ে তাকে তৃণমূলে ফিরতে বলা হয়।

কলকাতার দৈনিকগুলোর মতে, বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে এ মধ্যরাতে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি শোভনের সঙ্গে দেখা করে তাকে তৃণমূলে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। যদিও পার্থ এই সাক্ষাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দফতরে পৌঁছেছেন গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে শোভন-বৈশাখীকে স্বাগত জানানো হবে।

কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৫৫ বছর। ১৯৮৫ সাল থেকে কলকাতা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে মমতার নেতৃত্বে তৈরি হয় তৃণমূল কংগ্রেস। শোভন তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন তিনি।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের আসন ২২টি। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বেশ সফল মোদির বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ছয়জন এবং সিপিআইএম ও কংগ্রেসের একজন করে বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।