কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হবে প্যাটেলের জন্মদিনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৯

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে যে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা করা হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে কার‌্যকর হবে আগামী অক্টোবরে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এমন দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে মোদি সরকার।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী। ওইদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও দিখণ্ডিত করার বিল দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয়। পরদিন ৬ আগস্ট বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভাতেও বিলটি পাস হয়। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন।

ব্রিটিশবিরোধী ভারত ছাড় আন্দোলনের নেতা ছিলেন সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল। তবে স্বাধীনতা আন্দোলন নয় সরদার প্যাটেলের জন্মদিন নির্ধারণ করা হয়েছে অন্য কারণে। কেননা তিনি কাশ্মীরকে দেয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সোচ্চার ছিলেন।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ৩৭০ বিরোধী সোচ্চার অবস্থানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাকে স্মরণ করেন। মোদি বলেন, ‘মোদি দাবি করেন, তার সরকার কাশ্মীরের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলসহ কোটি কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ করেছে।

জাতীয়তাবাদী নেতা সরদার প্যাটেল স্বাধীন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গত বছর গুজরাটে তার জন্মস্থানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য তৈরি করেছে মোদি সরকার। ভাস্কর্যটি ৫৯৭ ফুট উঁচু, উচ্চতায় যা প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানে পাওয়া কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে মোদি সরকার। আর কাশ্মীরিরা যাতে এর কোনো প্রতিবাদ করতে না পারে তাই সেখানে নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানকার মানুষ এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।

মোদি সরকারের মাস্টারে প্ল্যানের কাছে হেরে বিক্ষোভে ফুঁষে উঠেছে কাশ্মীর মানুষ। কারফিউ জারি থাকার কারণে সেখানে মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানকার সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী এবং পাঁচ শতাধিক প্রভাবশালী স্থানীয় নেতাসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম সামরিকায়িত এলাকাগুলোর একটি কাশ্মীর। ভারতীয় সংবিধোনের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এতদিন কাশ্মীর প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া কোনো কিছুতেই ভারতীয় আইন মানতে বাধ্য ছিল না। কিন্তু মোদি তা বাতিল করেছে। এ ছাড়া রাজ্যের মর্যাদাও হারিয়েছে কাশ্মীর।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।