ঈদে ফেরার দরকার নেই বাবা, ফোনে ছেলেকে কাশ্মীরি মা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৯

বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সীমিত পর্যায়ে টেলিফোন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে। গতকাল রাজধানী শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) দফতরে মাত্র দুটি ফোন ব্যবহার করে কাশ্মীরের বাইরে জরুরি ফোন করার অনুমতি দেয়া হয়। সে সময়ে এক কাশ্মীরি মা পবিত্র ঈদুল আজহায় ছেলেকে কাশ্মীরে ফিরে যেতে মানা করেন।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়া এবং ওই অঞ্চলকে ভারতের সঙ্গে একীভূত করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই কাশ্মীরের সঙ্গে বাইরের সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। আপাতত শ্রীনগরের ডিসি অফিস থেকে কঠোর নজরদারির মধ্যে জরুরি ফোন করার অনুমতি দেয়া হয়। ফোন করার জন্য শ্রীনগরের লাল চক এলাকায় ডিসি অফিসে জওহার নগর থেকে পায়ে হেঁটে যান এ দুর্ভাগা মা। তারপর ফোনে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সরাসরি উত্তর না দিয়ে কাশ্মীরের এই মা বলেন, ‘মৌজা আক’। যার অর্থ দাঁড়ায়-কাশ্মীরের অনেক মায়ের একজন।

ব্যাঙ্গালুরে অবস্থিত ছেলেকে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। এ অবস্থায় ঈদ করতে কাশ্মীরে ফেরার কোনো দরকার নেই।’

ছেলেটি মায়ের ফোন পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও জানান এই মা। এ সময় নিজেকে সামলিয়ে তাদের নিয়ে দুঃচিন্তা করতে নিষেধ করেন ছেলেকে।

সাধারণত কাশ্মীরিদের এক মিনিটের মধ্যে কথা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। কী বিষয়ে কথা বলা হবে তা আগেভাগে জানাতে হয়। তারপরেই কেবল কথা বলার অনুমতি মেলে।

ভারতসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শ্রীনগরের ডিসি অফিসের দুটি ফোন থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাশ্মীরের বাইরে বসবাসরত সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।

শ্রীনগরের ডিসি অফিসে জরুরি ফোন করার জন্য যারা উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই নারী। ঘর থেকে বের হলে পুরুষরা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন বলে নিরুপায় কাশ্মীরি নারীরাই বের হতে বাধ্য হয়েছেন।

সূত্র: পার্সট্যুডে

এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।