কাশ্মীরি শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন মালালা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০১৯
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরে সংঘর্ষ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরি শিশু এবং নারীদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার নারী এবং শিশুরা কেমন আছে তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
চলমান কারফিউয়ের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
বিজ্ঞাপন
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাত দশক ধরে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
এক টুইট বার্তায় মালালা বলেন, ‘আমি যখন ছোট এমনকি আমার মা-বাবা যখন ছোট এবং আমার দাদা যখন তরুণ তখন থেকেই কাশ্মীরের লোকজন সংঘাতের মধ্যে বসবাস করছেন।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ওই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই মানবাধিকার কর্মী। তিনি বলেন, আজ আমি কাশ্মীরি শিশু এবং নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। কারণ সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ সহ্য করতে হয় নারী এবং শিশুদের।
ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তান বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কাশ্মীর ইস্যুতে বক্তব্য রাখলেন মালালা ইউসুফজাই। দিল্লিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত আসতে বলেছে পাকিস্তান।
গত সোমবার ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রায় সাত দশক ধরে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল কাশ্মীর। কিন্তু হঠাৎ করেই গত সোমবার কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ভারতের এমন পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান থেকে বলা হয়েছে যে, ভারতের এমন অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে ইসলামাবাদ। একই সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেছে পাকিস্তান।
টিটিএন/পিআর