কাশ্মীর শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয় : কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯

ভারতীয় লোকসভায় বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী পার্লামেন্টে দেয়া তার বক্তৃতায় কাশ্মীর শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, কীভাবে কাশ্মীর শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়, কারণ ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘ বিষয়টির তদারকি করছে।

কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্য কাশ্মীর ইস্যুতে বর্তমান ভারত সরকারের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা মোদি সরকার বলছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীর সমস্যা কীভাবে সমাধান করা হবে সেটা হবে ভারতের সিদ্ধান্ত।

দেশভাগের পর কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেই যুদ্ধ চলে দুই বছর। পরে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতিসংঘের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে কাশ্মীরে গণভোট, পাকিস্তানের সেনা প্রত্যাহার, এবং ভারতের সামরিক উপস্থিতি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে আহ্বান জানানো হয়।

মঙ্গলবার লোকসভায় দেয়া বক্তৃতায় অধীর রঞ্জণ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি বলছেন এটা একটা অভ্যন্তরীণ বিষয় কিন্তু এটা ১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘ তদারকি করে আসছে, তাহলে কী এটা কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়? শিমলা চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণায় আমরা স্বাক্ষর করেছি তাহলে কী সেটা অভ্যন্তরীন নাকি দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছিল?’

কাশ্মীর সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলে সরকারের বিরোধীতা করে তোপ দেগে কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এস জয়শঙ্কর মাইক পম্পেওকে বলেছেন কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় তাই এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তাহলেও জম্মু-কাশ্মীর কী করে অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে?’

লোকসভার বিরোধীদলীয় এই কংগ্রেস নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর নিয়ে ভাবছে না। আপনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) সব ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন করে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রুপান্তরিত করেছেন।’

অধীর চৌধুরী আরও প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম সর্বদা নজরে রাখে। যদি কাশ্মীর ইস্যু এত সোজা হতো তাহলে কেন সরকার গতকাল বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বিষয়টি অবহিত করেছে? আমি সরকারের কাছ থেকে বিষয়টির ব্যাখা চাই।’

এসএ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।