কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় বৈঠক ডেকেছে ওআইসি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৯
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার এক বৈঠক ডেকেছে অরগ্যানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার জানিয়েছে, জেদ্দায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে বিজেপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তে বদলে গেছে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা।
প্রায় সাত দশক ধরে কাশ্মীরের জনগণ এর আওতায় ছিল। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারাতে হলো জম্মু ও কাশ্মীরকে।
এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী
কাশ্মীর ইস্যুতে আজকের বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলে ধরবেন।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে নিন্দনীয় এবং অবৈধ বলে উল্লেখ করে মোহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে আজ জেদ্দায় ওআইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত রোববার ওআইসির তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলে ভারতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত।
ভারত সরকারের এমন এক তরফা পদক্ষেপ এই বিতর্কিত অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা হয়। ভারতের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখার জনগণ এবং পাকিস্তান কখনও মেনে নেবে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই বিতর্কিত অঞ্চলের অংশ হিসেবে ভারতের অবৈধ পদক্ষেপ রুখতে সব ধরনের বিকল্প উস্থাপন করবে পাকিস্তান। কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ওআইসিকে আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত বিশ্বের শান্তি নিয়ে ধ্বংসাত্মক খেলায় মেতে উঠেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এসব সংগঠন এবং নেতৃত্বের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেড় বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ওই অঞ্চলে ভারতের আগ্রাসনের কারণে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
টিটিএন/জেআইএম