রাজনৈতিক উত্থানই ছিল বঙ্গবন্ধুর বিপ্লব : আমু


প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

‘বঙ্গবন্ধুর বিপ্লব, রাজনৈতিক উত্থান। এটা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবও নয়, হিটলার-মুসোলিনির বিপ্লবও নয়। এটা ছিল একটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধটা পরিচালিত হয়েছে সেই চেতনার ভিত্তিতেই।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমন মন্তব্য করেছেন। সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার যে পরিকল্পনা এইটা কিন্তু একটা সুক্ষ্ম পরিকল্পনা ছিল। যেমন, ব্যাপারটা ছিল যে, জাতীয় কমিটি করা হলো এবং প্রত্যেক জেলায় একজন গর্ভনর নিয়োগ করা হলো। জাতীয় জেলা কমিটিকে ঢাকায় আনা হলো রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের নামে। আর ঢাকায় গর্ভনরদের আনা হলো প্রশাসনিক প্রশিক্ষণের নামে। অর্থাৎ সমস্ত জেলাগুলো শূন্য ও নেতৃত্বহীন থাকার সুযোগটিই পরিকল্পনাকারীরা গ্রহণ করেছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হতাকাণ্ডের আগেও তাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে থেকে সাবধান করা হয়েছিল সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, আমার যেটা ধারণা পৃথিবীতে যে সমস্ত নেতৃত্ব বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। তারা এন্টি পার্টিকে এনিমেশন করেই ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বিপ্লব, রাজনৈতিক উত্থান। এইটা কিন্তু সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবও নয়, হিটলার-মুসোলিনির বিপ্লবও নয়। এটা ছিল একটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধটা পরিচালিত হয়েছে সেই চেতনার ভিত্তিতেই। সমাজতান্ত্রিক কোনো মেথড নিয়ে বা কোনো উগ্রতান্ত্রিক মেথড নিয়ে কিন্তু এই দেশের মানুষ আলোড়িত হয় নাই। কিংবা এদেশের মানুষকেও সেই চেতনায় তিনি সংঘবদ্ধ করেন নাই।

ছয় দফার কথা উল্লেখ করে আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দাবি দিয়েছিলেন তখন এদেশের সমস্ত সিএসপি অফিসাররা তাকে সমর্থন করেছিলেন। এদেশের সমস্ত বাঙালি পুলিশ অফিসাররা তাকে সমর্থন করেছিলেন। সামরিক বাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর বাঙালি অফিসাররা কেউ প্রকাশ করেছেন কেউ করেন নাই। কিন্তু মনে মনে সমর্থন করতেন।

কারণ তিনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন ওনার এই কর্মসূচিতে সবার একটা বিশ্বাস আছে এবং এটা প্রমাণিত হয়েছে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ছিল।

জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এই কথক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান।

এএসএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।