এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা


প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকৌশল অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাবি আদায়ের মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেয়।
 
বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার এহশাদুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ, তানভীর আহমেদ জীম, ২য় বর্ষের মাসুদুর রহমান।

বক্তারা বলেন, মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিভাগের সব ক্লাস বর্জন করা হবে। তবে বিভাগের ল্যাব ও সকাল সোয়া ৮টা থেকে ৯টার ক্লাসে অংশগ্রহণ করা হবে। একই দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগকে যখন নাম পরিবর্তন করে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ করা হয় তখন এর কোর্স কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে যে কারিকুলাম পড়ানো হয় আমাদেরও সেই কারিকুলামই পড়ানো হয়।

বর্তমানে আমাদের সিলেবাসের ১০ শতাংশ ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের আর বাকি ৯০ শতাংশই ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। এমন অবস্থায় নতুন করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইইই’ বিভাগ খোলা হলে তা হবে সাংঘর্ষিক। তাই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি নতুন বিভাগ না খুলে এপিইই বিভাগকে ইইই বিভাগে রূপান্তর করার। এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের করে।

প্রসঙ্গত, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রকৌশল অনুষদের অধীনে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে আরো একটি আালাদা বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলছেন না বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মামুনুর রশিদ তালুকদার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে কথা বলার জন্য বিভাগীয় সভাপতি মামুনুর রশিদ তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে এবং অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু বকর মো. ইসমাইল জাগো নিউজকে বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীরা না বুঝেই নতুন বিভাগ খোলার বিরোধিতা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিভাগকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

রাশেদ রিন্টু/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।