পারস্য উপসাগরে ইরান-রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯

ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি বলেছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান এবং রাশিয়া যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। খুব শিগগিরই এই মহড়া শুরু হবে। প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান খানজাদি এখন রাশিয়ার নৌ-দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সেন্ট পিটার্সবার্গে রয়েছেন। গত সোমবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেন।

খানজাদি বলেন, ভারত সাগর, মারাকান জলসীমা, হরমুজ প্রণালী এবং পারস্য উপসাগরে চলতি বছরের শেষের দিকে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার জন্য দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। রুশ নৌ-দিবসে খানজাদিসহ ২০টি দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইরানের নৌবাহিনী প্রধান তার এই সফরের সফলতার বিষয়ে বলেন, যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে রুশ ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের পক্ষে তিনি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান আরও বলেন, তেহরান এবং মস্কোর মধ্যে এ ধরনের চুক্তি এই প্রথম। যার লক্ষ্য হলো, দুই দেশের সামরিক বাহিনী বিশেষ করে নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি। তারই অংশ হিসেবে এ ধরনের সামরিক মহড়ার আয়োজন।

ইরান-রাশিয়ার সামরিক মহড়ার এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো যখন তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে করা ছয় জাতির পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করলে এই উত্তেজনার সূত্রপাত।

সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তার মধ্যে ইরান সীমান্তে তারা অন্ত ২০টি ড্রোন পাঠিয়েছে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে মধ্যপ্রাচ্যে।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।