বরগুনায় ১১ জলদস্যু আটক


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বরগুনায় পাথরঘাটায় জলদস্যু সন্দেহে ১১ জনকে আটক করেছে স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীরা। সোমবার ভোরে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের চরদুয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আটকরা হলেন, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার  কুমারখালী গ্রামের মো. নওয়াব আলীর ছেলে মো. আবদুর রহমান, একই উপজেলার জুচখোলা গ্রামের মো. ইয়াকুর আলীর ছেলে মো. নজরুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের শুক্কুর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. জাহিদ হাওলাদার।

এছাড়া একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শুক্কুর আলী, একই উপজেলার বিষখালী গ্রামের আবদুল মাঝির ছেলে মো. আজিজুল হক, আইয়ূব আলীর ছেলে গাউছ মিয়া, সোনাম উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, গহুর আলীর ছেলে সেকান্দার আলী, লুৎফর রহমানের ছেলে রুবেল মাঝি, মজিবর বাওয়ালীর ছেলে পলাশ বাওয়ালী ও জহুর আলী মোল্লার ছেলে মফিজুল মোল্লা।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত পাথরঘাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে সুন্দরবনের কচিখালী এলাকায় এফবি মা-বাবার দোয়া নামের একটি ট্রলারে করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১১ জন জলদস্যু অন্তত ৫টি ট্রলার ডাকাতি করে। এ সময় ডাকাতরা জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা ইলিশ মাছ, জাল এবং রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, সোমবার ভোরে চরদুয়ানী বাজারের বরফ মিল ঘাটে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত ওই ট্রলারটি নোঙর করে ৪ হাজার দু’শ পিস ইলিশ মাছ বিক্রির জন্য ট্রাকে উঠানোর সময় ডাকাতি হওয়া ট্রলারের জেলেরা জলদস্যুদের চিনতে পারে। তাৎক্ষণিক তারা স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের খবর দিলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা তাদের আটক করে। পরে চরদুয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে চরদুয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।